৫০+ জনপ্রিয় কিছু ব্যবসায় আইডিয়া সংগ্রহ করুন

আপনি যদি ব্যবসা তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করে দেখেন তাহলে নতুন নতুন ব্যবসা তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করার সময় আপনি কি ব্যবসা করবেন সেটা সম্পর্কে ধারণা নাও পেতে পারেন।

অর্থাৎ আপনি হয়তো ব্যবসা করতে চান, কিন্তু বর্তমানে কিসের ব্যবসা তৈরি করা যায় কিংবা কি ব্যবসা শুরু করা যায় সে সম্পর্কে আপনি সন্ধিহান অবস্থায় থাকতে পারেন। সেজন্য প্রয়োজন হতে পারে, সবচেয়ে কার্যকরী কিছু ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া।

দেখুন, ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায় আইডিয়ার অভাব পুরো পৃথিবীতে আপনি খুঁজে পাবেন না। অর্থাৎ, এরকম মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না কিংবা অনেকেই জানলেও সেটা নিয়ে ব্যবসা এখনো শুরু করেননি।

কাজেই, আপনি যদি এরকম কিছু না জানা ব্যবসায় আইডিয়া সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে চান যেগুলো আসলেই জানা প্রয়োজন এবং যে সমস্ত ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আসলেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।

ব্যবসা আইডিয়া কেন প্রয়োজন?

যে কেউ যখনই ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করবেন তখন কি নিয়ে ব্যবসা করবেন সেটা সম্পর্কে চিন্তা করা সবচেয়ে বাঞ্ছনীয়। আর ব্যবসা করার ক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি ভালো ব্যবসা আইডিয়া।

কারন আপনি যদি একটি ভালো ব্যবসায় আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করতেন তাহলে সেই ব্যবসা থেকে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এবং এর বিপরীত যদি হয় তাহলে আপনি হয়তো এরকম কোন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন যে ব্যবসা নিয়ে ব্যবসা নামার পরে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

সেজন্য ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই এরকম কিছু ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন যেগুলো কম্পিটিশন অন্যান্য ব্যবসা আইডিয়া তুলনায় কম কষ্টকর হবে এবং একই সাথে যে কেউ চাইলে সেরকম কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া এ সমস্ত ব্যবসা চালু করতে পারবেন।

আর আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে সেরকম কিছু লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে।

জনপ্রিয় কিছু ব্যবসা আইডিয়া

জনপ্রিয় কিছু ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে, এর মধ্যে থেকে যে সমস্ত ব্যবসার আইডিয়া আপনি চাইলে নিজেকে প্রয়োগ করার মাধ্যমে এ সমস্ত ব্যবসার আইডিয়া ব্যবহার করে লাভবান হতে পারেন, সেগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা আইডিয়া নিচে তুলে ধরা হলো:

  • ব্লগিং (Blogging)
    গ্রাফিক ডিজাইন (Graphic Design)
  • গার্মেন্টস দোকান
  • জুতার দোকান
  • কফি শপ
  • ফুলের ব্যবসা
  • চুল কাটার দোকান
  • সেলাই মেশিন
  • আচার
  • আইসক্রিম
  • চকোলেট
  • পাপড়
  • মোমবাতি
  • মশলা
  • সাবান
  • ম্যাট
  • টিউশন সেন্টার
  • নাচের ক্লাস
  • সংবাদপত্র
  • প্রিন্টিং প্রেস
  • ফুচকা
  • মাশরুম চাষ
  • রেস্টুরেন্ট
  • ম্যানুফ্যাকচারিং
  • ওয়েব ডিজাইন (Web Design)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
  • কন্টেন্ট ক্রিয়েট এজেন্সি (Content Creation Agency)
  • ইন্টেরিয়র ডিজাইনার (Interior Designer)
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Mobile app)
  • অনলাইন বাজার (E-commerce platform)
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
  • বাঙালি ফুড কেটারিং সার্ভিস (Bengali Food Catering Service)
  • খুচরা ব্যবসা (Retail Business)
  • রিয়েল এস্টেট  (Real Estate)
  • বিল্ডিং উপকরণ (Building Materials)

লাভজনক কিছু ব্যবসা আইডিয়া

লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া, হিসেবে যে সমস্ত ব্যবসা আইডিয়া বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু আইডিয়া নিছে তুলে ধরা হলো।

অনলাইন কোর্স তৈরি

আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন এবং একই সাথে এই বিষয়ে সম্পর্কে জানার জন্য মানুষ যদি আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে সেই বিষয়ের উপরে একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন।

সেটা যে কোন টপিক হতে পারে যে সম্পর্কে জানার জন্য মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এবং এই রিলেটেড একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং তারপরে সেই কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

তবে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড সিগন্যাল বৃদ্ধি করতে হবে অর্থাৎ আপনার অর্ডিন্যান্স বৃদ্ধি করতে হবে যারা আপনাকে চিনে, জানে। এরকম হলে আপনি অনলাইন কোর্স তৈরি করার মাধ্যমে সেটি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ই-কমার্স স্টোর

এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা আপনার জন্য একটি অন্যতম রাস্তা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে একটি অনলাইন পোর্টাল খুলে নিতে পারেন এবং তারপরে সেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট আপলোড করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য যে সমস্ত প্রোডাক্ট, খুবই রেয়ার হিসেবে পাওয়া যায় এবং একই সাথে যে সমস্ত প্রোডাক্ট এর ডিমান্ড অনুযায়ী প্রোডাক্টের সাপ্লাই কম রয়েছে সমস্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।

এরকম রেয়ার প্রোডাক্ট আপনি যদি বিক্রি করেন তাহলে সমস্ত প্রোডাক্টের বিক্রি করার জন্য আপনাকে সেরকম কষ্ট করতে হবে না। অর্থাৎ কম কষ্টে আপনি সে সমস্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন এবং এই সমস্ত প্রোডাক্ট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

অনলাইন এর মাধ্যমে মুক্ত পেশার জন্য যে সমস্ত উপায় বিদ্যমান রয়েছে তার মধ্য থেকে অন্যতম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন এবং সাথে সেই বিষয়ে আপনি যদি কাউকে সাহায্য করার জন্য পরিপূর্ণভাবে তৈরি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে নেমে যেতে পারেন।

এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। যদি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার না হন তাহলে মার্কেটপ্লেসে গিয়ে সেরকম কোনো কাজ নাও পেতে পারেন।

যদি আপনি নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিলান্সার দাবি করেন কিংবা কোন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড কাজের প্রতি আপনি পরিপূর্ণভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে সেই কাজে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নেমে যেতে পারেন।

অনলাইনে এরকম অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি এই কাজটি করতে পারেন। শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেইসে রেজিস্ট্রেশন করে নিন এবং তারপরে সেখানে গিগ তৈরি করার মাধ্যমে আপনার কাজের বর্ণনা দিয়ে দিন।

তারপরে কাস্টমারকে কাজে রিকুয়েস্ট প্রেরণ করার মাধ্যমে কাজ পুষিয়ে নিতে পারেন।

ব্যবসা আইডিয়া এর সম্পর্কে কিছু কথা: এখানে যে সমস্ত আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হয়তো পূর্বে কেউ শুরু করে ফেলেছে। সে ক্ষেত্রে, আপনি যদি কোন রকমের কম্পিটিশন না চান তাহলে নিজে থেকে এরকম কোন একটি ব্যবসা আইডিয়া জেনারেট করে ফেলুন।

অর্থাৎ বর্তমান সমাজে কিংবা বর্তমানে আপনি যেখানে বসবাস করছেন সেখানে কিসের অভাব রয়েছে? এবং একই সাথে এই অভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য যে প্রতিষেধক বিদ্যমান রয়েছে সেই প্রতিশধক পুঁজি করে একটি ব্যবসা আইডিয়া জেনারেট করে নিন।

কারণ একটি কথা রয়েছে: প্রয়োজনীয়তাই আবিষ্কারের জনক। কাজেই প্রয়োজন বুঝে কোন একটি ব্যবসা আইডিয়া জেনারেট করেন। এতে আপনি সেরকম কোন কম্পিটিশন লক্ষ্য করবেন না এবং এদের সাথে সেই ব্যবসা শুরুর দিকেই সফল হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top